২৪খবরবিডি: 'বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিনি বলেন, সরকার ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছিল। আর কমিশন সমঝোতার মাধ্যমে অর্ধেক আসনে সরকারের সঙ্গে রফা করেছে।'
এর মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হলো, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের একটা অঙ্গ সংগঠন হয়েই কাজ করছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র সরকারের ইচ্ছা পালন করার জন্য, তাদের সরকার গঠন করার লক্ষ্যকে চূড়ান্ত রুপ দেয়ার জন্যই ইভিএমের কথা বলেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো এমনকি জাতীয় পার্টি পর্যন্ত বলেছে, আমরা ইভিএম চাই না। কারণ ইভিএম দিয়ে জনগণের রায় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে না। তারপরও এই অবৈধ নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবাহ হিসেবে কাজ করছে। এটা কখনও জনগণ গ্রহন করবে না, আমরাও গ্রহণ করছি না। এটাকে পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখান করছি। তিনি বলেন, বিএনপির দাবি খুব পরিস্কার, নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণের দাবি প্রতিফলিত হবে না, জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে না। তাই অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন করে গঠিত নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সকল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। ওই ভোট হবে সম্পূর্ণ ব্যালেটে।
-বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন ব্যাপারে আমাদের একটুও আগ্রহ নেই। তারা কি বলছে, কি করছে-এটা আমাদের কাছে গুরুত্ব বহন করে না। কারণ আমাদের মূল বিষয়টা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকার। যদি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা ১২/১৩ বছর ধরে একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে মোকাবেলা করছি।
আগামী সংসদ নির্বাচনে 'আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতেই ১৫০ আসনে' ইভিএম: মির্জা ফখরুল
যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে এদেশের মানুষের সকল আশা-আকাঙ্খাকে ধ্বংস করে দিয়ে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধবংস করে দিয়ে জবরদখলকারী সরকার প্রতিষ্ঠা করে ক্ষমতায় বসে আছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এমন কোনো কাজ নেই তারা করছে না। বাংলাদেশে এর আগে কখনো গুম দেখিনি। সেই গুমের মধ্য দিয়ে ভয় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ দপ্তর তাইফুল ইসলাম টিপু, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুর ১টায় মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফলভাবে পালনের বিষয়ে আলোচনা হয়। দিবসটি পালনে বিএনপি দুই দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।